মেঘনার তীরের কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ দর্শনার্থী

মেঘনার তীরের কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ দর্শনার্থী

৭ October ২০২৫ Tuesday ৫:৫৭:০৪ PM

Print this E-mail this


ভোলা প্রতিনিধি:

মেঘনার তীরের কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ দর্শনার্থী

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে দিগন্তজোড়া মাঠে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে সাদা কাশফুল। এবার শরতে প্রায় ৫০ একর জমিতে ফুটেছে কাশফুল। যেন নীল আকাশের সঙ্গে মিতালিতে মেতেছে ফুলগুলো।

দখিনা বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুলের স্নিগ্ধতায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দুঃখ কষ্ট ভুলে নীল আকাশের শুভ্রতায় উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। কাশফুলের সেই শুভ্রতায় আনন্দ খুঁজতে প্রতিদিন ছুটে আসছে শত শত প্রকৃতিপ্রেমী। নানা বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর মেঘনার পাড়।

দর্শনার্থীরা জানান, ষড়ঋতুর বাংলার অনেক রং রূপ হারিয়ে গেছে। এর মধ্যেও মেঘনার পাড়ের সাদা কাশফুল মনে করিয়ে দেয় শরৎ ঋতুর কথা। সেই কারণে প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। 

শিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী ইকরামুল আলম জানান, শরৎ উদযাপনে নতুন মাত্রা পেয়েছে মেঘনা তীরের কাশবন। নগর ছেড়ে এখানে ছুটে আসেন কিছুটা প্রশান্তির খোঁজে। নদী, খোলা আকাশ, মৃদু বাতাস প্রাণ জুড়ায় এ বন।

সিলেট থেকে আসা মেডিকেল শিক্ষার্থী মন্দিরা দেবী জানান, এত বড় নদী আর বিশাল কাশবন আগে কখনও তিনি দেখেননি। প্রকৃতির এরূপে মুগ্ধ তিনি। বরিশাল থেকে আসা নিমাই রায়ের মতে এখানে এসে ষড়ঋতুর আমেজ পেয়েছেন তিনি।

ঘুরতে আসা তরুন-তরুণীরা ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। এমন এক কলেজ ছাত্রী রিপা জানান, একদিকে মেঘনার জোয়ার-ভাটা তার পাশেই নিল আকাশ আর কাঁশফুলের মিতালি। তার মতে, এ যেন অপরূপ দৃশ্য। দর্শনার্থী সফিজল জানান, এখানে এসে ক্ষণিকের জন্য উপভোগ করতে পারেন গ্রাম বাংলার আসল রূপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবীনরা ব্যস্ত সময় পার করেন স্মৃতি ক্যামেরা বন্দির কাজে। কাশফুলের ফাঁকে ফাঁকে লুকোচুরি খেলে সময় কাটান কেউ কেউ। পিছিয়ে নেই পরিবারের বয়োবৃদ্ধরাও। প্রকৃতির এমন সৌন্দয্য উপভোগে মেতে ওঠেন তারাও। ফুলের মাঝে ফুটবল খেলায়ও মেতেছে তরুণরা। সূর্যাদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্যও উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। কাশফুলের এ আয়োজন ক্ষণিকের হলেও বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে যেন নিজেদের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয় এমন আশা তাদের।
 

জেলা শহরের অদুরে শান্তিরহাট কাশফুল উপভোগ করতে প্রতিদিন সহস্রাধিক দর্শনার্থী আসেন। বালুময় এ স্থানটিকে অনেকে ‘গরিবের দুবাই’ বলে থাকেন।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts