ফকিহগণ কুফুকে কয়েকটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করেছেন।
১️. ধর্মীয় কুফু: উভয় পক্ষের বিশ্বাস, নামাজ-রোজা, ইসলামি নীতি মেনে চলা ইত্যাদিতে মিল থাকা। একজন ধার্মিক নারী যেন অধার্মিক পুরুষের অধীনে কষ্ট না পান, এটি শরিয়তের মূল উদ্দেশ্য। (ইমাম নববি, আল-মাজমু’, ১৬/২৪০, দারুল ফিকর, বৈরুত, ১৯৯৭)
২️. বংশগত কুফু: সমাজে বংশ ও পরিবারগত মর্যাদায় অতিরিক্ত পার্থক্য যেন না থাকে। যদিও ইসলাম বংশ নয়, ধর্ম ও চরিত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সে-ই সবচেয়ে মর্যাদাবান, যে সবচেয়ে পরহেজগার।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩)
৩️. নৈতিক কুফু: চরিত্র, আচার-ব্যবহার, সততা ও আচরণে সামঞ্জস্য থাকা। একজন ন্যায়পরায়ণ নারী যেন দুরাচার স্বামীর কাছে না পড়ে, এটাই মূল দর্শন। (ইবনে কুদামাহ, আল-মুগনি, ৯/৩৯০, মাকতাবাতুল কাহিরা, ১৯৮৩)
৪️. আর্থিক কুফু: স্বামী যেন স্ত্রীর প্রাপ্য রক্ষণাবেক্ষণ (নাফাকা) দিতে সক্ষম হন। ইসলামে স্ত্রীর আর্থিক অধিকার রক্ষা করা ফরজ, তাই আর্থিক সক্ষমতা কুফুর অংশ। হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই অভিভাবক এবং প্রত্যেককে তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪২৫)

