মুন্সীগঞ্জে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুই ধরনের রিপোর্টে দিশেহারা রোগীর পরিবার!

মুন্সীগঞ্জে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুই ধরনের রিপোর্টে দিশেহারা রোগীর পরিবার!

মোহাম্মদ সেলিম
ছেলের অপারেশন প্রার্থী এক বাবা মুন্সীগঞ্জে দু’টি বেসরকারি ক্লিনিকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে গিয়ে দুই ধরনের রিপোর্ট পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই দু’টি বেসরকারি ক্লিনিক আবার একই ডাক্তারের মালিকানাধীন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গত কয়েকদিন পূর্বে ১১ বছরের একটি শিশু আব্দুর রহিম সাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ের হাটুতে ব্যথা পান। সহকারী প্রফেসর (অর্থপেডিক) ডাক্তার এম এ মালেক মুরাদের কাছে মুন্সীগঞ্জের সিপাহী পাড়াস্থ একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার আব্দুর রহিমকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

তার চিকিৎসা মোতাবেক পায়ের অপারেশন করার পূর্বে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে পাঠানো হয় এপেলো ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার সিপাহী পাড়াতে। তারা এই রোগীর অন্যান্য সকল পরীক্ষার সাথে রক্তের গ্রুপের পরীক্ষাও করেন। কিন্ত তাদের গ্রুপের পরীক্ষায় ছেলেটির রক্তের গ্রুপ আসে ও পজেটিভ।

পরবর্তীতে তাৎক্ষনিক ডা. মুরাদ হাসান এই রোগীকে মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হসপিট্যালে পাঠান এই পরীক্ষাগুলো পুনরায় করিয়ে নেয়ার জন্য। কারণ শেষ পর্যন্ত অপারেশন এই হসপিটালেই করা হবে। এই কারণে রোগির পরিবারের গাইটের পয়সা দ্বিতীয় বারের মতো খরচ করাতে এখানে পাঠানো হয়। প্রথম বার এখানে পাঠালে রোগির বাড়তি পয়সা এমনভাবে খরচ হতো না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কিন্তু আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো এখানে এক ঘন্টার ব্যবধানে রক্তের গ্রুপের পরীক্ষার রিপোর্ট বি পজেটিভ আসে। দুই ক্লিনিকে দুই ধরনের রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট দেখে রোগীর পরিবার এখন দিশেহারা।

রোগীর বাবা আলমগীর হোসেন জানান, দুই ক্লিনিকের দুই ধরনের রিপোর্টে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। এক কথায় আমরা দিশেহারা এখন। একই পরীক্ষা দুই ক্লিনিকে করাতে হয়েছে। তাও আবার ভুল রিপোর্ট দিয়েছে। ছেলের রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ।

এ বিষয়ে এপেলো ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টারের দায়িত্বরত মার্কেটিং অফিসার শহিদুল করিম জানান, এক ঘন্টার মধ্যে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হওয়ার কথা না। রাইটার যদি ভুল করে, তবে ভুল আসতে পারে, অন্যথায় না।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হসপিটালের ডাক্তার এম এ মালেক মুরাদ জানান, রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। তবে রক্তের গ্রুপের যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা এপেলো ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার সিপাহী পাড়ায় দায়ত্বিরত টাইপিস্ট ভুল করে ও পজেটিভ টাইপ করেছে। ক্রস চেকিং করে রোগীর অপারেশন করে দেয়া হয়েছে। রোগীর রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ।

ভুল রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: মো: মঞ্জুরুল আলম জানান, রিপোর্ট এর কপি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যাবে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Explore More Districts