২৪ January ২০২৫ Friday ১:৫০:০৬ PM |
মির্জাগঞ্জ ((পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সিসি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক মিটার নষ্ট করে এবং জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতি চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।
তবে ঘরে ঢুকতে না পারায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও পুলিশের হাতে আটক হয়েছে একজন। আটককৃত একজন হলেন বাকেরগঞ্জের পূর্ব মহেশপুরের মোহাম্মদ বজলুর সিকদারের ছেলে মিন্টু সিকদার (২৬)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মিস্ত্রির একতলা পাকা বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। সাত্তার মিস্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান,রাত একটার দিকে ডাকাত দল সাত্তার মিস্ত্রির ঘরের চারপাশে থাকা বারোটি সিসি ক্যামেরার পাঁচটি ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য মিটার ভেঙে ফেলে।
ঘরের ভিতর থেকে সাত্তার মিস্ত্রির পরিবারের সদস্যরা আঁচ করতে পারে বাড়ির ভিতরে ডাকাত পড়েছে। জানালা খুলে অন্য বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় বিদ্যুৎ আছে, তবে তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই।
ঘরের পূর্ব পাশের একটি জানলার গ্লাসের লক ভাঙা,গ্রীল কিছু অংশ কাটা এবং ভাঁজ করা। দ্রুত তাঁরা এলাকার মসজিদের ইমাম মোঃ হারুনুর রশিদের কাছে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।
মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর চারদিক থেকে লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতরা ভবনের ছাদেও অবস্থান নিয়েছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রত্যেকটা মসজিদে মাইকিং করা হয়। কয়েকটা গুলি সদৃশ আওয়াজ শুনতে পাই। সম্ভবত ডাকাত দল যাওয়ার সময় গুলি করতে করতে যায়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া করার এক পর্যায় উপজেলার গোলখালী বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কর্দমাক্ত পায়ে দেখা যায়। সন্দেহভাজনভাবে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ডাকাতির প্রস্তুতির কথা স্বীকার এবং ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন। গ্রেফতারকৃত মিন্টুকে নিয়ে নিয়ে সারাদিন অন্য আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
গ্রেফতারকৃত মিন্টু শিকদারের নামে কলাপাড়া ও মহিপুর থানায় ০২টি ডাকাতি মামলা, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল মেট্রোপলিটনে একাধিক চুরি মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
অন্যান্য আসামিরা হলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের সোবাহানের ছেলে মিলন। বাকের গঞ্জের মহেশপুরের মোঃ ইউসুফ জোমাদ্দারের ছেলে হাকিম, মির্জাগঞ্জের জয়নাল মোল্লার ছেলে মাইনুল এবং রাসেদুল সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, ইতোমধ্যে একজনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে লুকিয়ে থাকুক অন্যদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |