মোহাম্মদ সেলিম
মিরকাদিম পৌরসভায় ঈদগায়ে ৮ বছর পর ঈদের দ্বিতীয় নামাজের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মিরকাদিম পৌরসভায় ঈদগায়ে ঈদের নামাজের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে এখন। ঈদকে সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে এখানে চারিদিকে বাঁশের বেরিক্যাড তৈরি করা হচ্ছে।
উপরে বাঁশের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে সেই আশংকায় এখানে ত্রিপালও দেয়া হবে বলে জানা গেছে। আগামী ১০ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে ইতোপূর্বে ৮ বছর আগে কেউ ঈদের নামাজ পড়তে পারতো না বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি বিশেষ মহলের তৎপরতায় এখানে এমনটি হয়ে ছিল বলে জানা গেছে।
গত রোজার পরে ঈদুল ফিতরে এখানে ৮ বছর পর প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে এবারের ঈদেও নামাজ এখানে আদায় হলে ৮ বছর পর দ্বিতীয় নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মিরকাদিম পৌরসভার বর্তমান মেয়র হাজি আব্দুস ছালাম এখানে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ ঈদগায়ে ঈদের দিন নামাজ আদায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। তার সফলতায়ই গত ঈদে এখানে নামাজ আদায় সম্ভব হয়েছে বলে মুসল্লিরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।
মিরকাদিম পৌরসভার ঈদগায়ের মাঠ ও অন্যান্য বিষয় সংস্কারে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এখানে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার অনুদান বরাদ্দ করেন। সেই অর্থ বরাদ্দের টাকায় এখানে ঈদগায়ের মাঠ ব্যাপক সংস্কার করায়।
যার ফলে এখানকার মুসল্লিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারছেন বলে জানা গেছে। এখানে ঈদগায়ের পরিচালানা পরিষদের সভাপতি হচ্ছেন মেয়র হাজি আব্দুস ছালাম। আর সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন ম. মনিরুজ্জামান শরীফ।
মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস ছালাম বলেন, এখানে ঈদগায়ের মাঠে ৬টি কাতার রয়েছে। তাতে প্রতিটি কাতারে প্রায় ৩শ’জন করে মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। গত ঈদে ঈদগায়ের মাঠের বাইরেও খেলার মাঠে আরো ৪ কাতারে ঈদের জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে।
এবার আরো বেশিও হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। মিরকাদিম পৌরসভায় একাধিক সমাজ রয়েছে। সেই সমাজের মুসল্লিরাই এখানে নামাজে আসেন।