নাং আয়া ইয়িন বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত কেউ মারা যায়নি। তবে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। ১১ বছর বয়সী আমার এক ভাগনি তিনটি আঙুল হারিয়েছে। আরেকজনের মাথা ও একটি পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।’ তিনি বলেন, মান্দালয় ও সাগাইংয়ের হাসপাতালগুলো থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে চিকিৎসা দেওয়া মতো আর জায়গা নেই।
এরই মধ্যে বেসামরিক লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা অভিযোগ তুলছেন—ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য ভারী সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের কাছ থেকেও আশা অনুযায়ী সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
মান্দালয়ের বেসামরিক লোকজন জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে তাঁদের খালি হাতে উদ্ধারকাজে নামতে হয়েছে। ভূমিকম্পের বেঁচে ফেরা একজন রয়টার্স বলেন, ‘শহরের সবখানে শুধু ধ্বংসস্তূপ। আর আমাদের উদ্ধারের জন্য কোনো উদ্ধারকারী দল এগিয়ে আসেনি।’