ফরিদগঞ্জ উপজেলার আমিন হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায়, কচুয়ার রহিমা নগরের মুন্নি নামক জনৈক ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। যা অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
মূলত,এ বিষয়টি আমাদের কে গত মাসে জানানো হলে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দশ জন এডভোকেট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উভয়ের কথা শুনে কোন তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি বলে মেয়ের অভিভাবক তাকে বাসায় ফেরত নেন। আজ জানতে পারলাম তার বিরুদ্ধে নারী শিশু আদালতে ৯/৪ (খ) ধর্ষন চেষ্টা মামলা হয়েছে। কোন শোকজ বা তদন্ত ছাড়া মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ারেন্ট দিয়ে যৌথ বাহিনী আজ তাকে গ্রেফতার করেছে যা বিচারের নামে প্রহসন।
আরও পড়ুন… জুলাই মঞ্চ নেত্রীর মামলায় ফরিদগঞ্জের এনসিপি নেতা গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, মামলা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং ‘জুলাই মঞ্চ’এর এক নেত্রীর সঙ্গে একই দলের নেতা আল আমিন সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্ক বিয়েতে রূপান্তর করার দাবিতে গত ৫ অক্টোবর ওই নেত্রী আল আমিনের বাড়ি ফরিদগঞ্জের শ্রীকালিয়া গ্রামে গিয়ে অনশন শুরু করেন।
দুদিন ধরে জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মাহবুবসহ একাধিক নেতৃবৃন্দ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। এসময় তরুণী মীমাংসা না করে এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মাহবুব কাছে কান্নাকাটি করে। অবশেষ তরুণী বিষয়টি না মেনে এনসিপি নেতাকে বিয়ে করাসহ ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য মামলার দ্বারস্থ হয়। মীমাংসার টাকা জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মাহবুব কাছে আছে।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ওই নেত্রী চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী একটি মামলা (নারী ও শিশু মামলা নং-৩৪৭/২০২৫) দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আল আমিন সৈকতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি/
২৯ অক্টোবর ২০২৫
 
				 
															