মামদানি ‘হামাস সমর্থক’মেয়র, নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলে চলে যাওয়ার আহ্বান – DesheBideshe

মামদানি ‘হামাস সমর্থক’মেয়র, নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলে চলে যাওয়ার আহ্বান – DesheBideshe

মামদানি ‘হামাস সমর্থক’মেয়র, নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলে চলে যাওয়ার আহ্বান – DesheBideshe

তেলআবিব, ০৮ নভেম্বর – নিউ ইয়র্ক শহরের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন জোহরান মামদানি। তবে ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণের বিজয় বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলার পাশাপাশি ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

ইসরায়েলের প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি মামদানিকে হামাস সমর্থক মেয়র আখ্যা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিকলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, যে শহর একসময় বৈশ্বিক স্বাধীনতার প্রতীক ছিল, তা এখন এক হামাস সমর্থকের হাতে চলে গেছে।

আমিখাই চিকলি নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবার আহ্বান জানান। চিকলির এই কথায় সায় দিয়ে আরেক ডানপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন গ্ভির মন্তব্য করেন, বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং ঘৃণা জয় পেয়েছে। মামদানি ইসরায়েলের শত্রু এবং উন্মুক্তভাবে ইহুদিবিরোধী।

উগান্ডায় জন্ম নেওয়া মামদানি বরাবরই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের সময় তিনি ইসরায়েলকে বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা এবং অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছিলেন। এই বক্তব্যই তাকে ইসরায়েলি নেতৃত্বের চোখে বিতর্কিত করে তোলে। তবে মামদানি নিজ অবস্থানে অটল থেকেছেন। তিনি বারবার জানিয়েছেন, ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামবিদ্বেষ দুটিরই কঠোর নিন্দা করেন তিনি।

নির্বাচনের আগের দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলে আক্রমণ করলেও, নিউ ইয়র্কবাসী তাদের উত্তর দিয়েছেন ভোটের মাধ্যমে। এক তরুণ, অভিবাসী পরিবারের সন্তান এবং একজন মুসলিম হিসেবে মামদানি প্রমাণ করেছেন, বৈচিত্র্যই এই শহরের আসল শক্তি।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ০৮ নভেম্বর ২০২৫



Explore More Districts