জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট জাহিদুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে গণমিছিল, গণযোগদান আলোচনা সভা করেছে গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় পৌরশহরে কর্মসূচি পালন করে তারা। দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য ফরম পূরণ করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় পৌর মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে আয়োজিত গণযোগদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট জাহিদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট জাহিদুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই নয়, এ দেশে যারা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির জন্ম দেবে তাদেরকে দেশের সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছে তাদের আর্থিক সহযোগিতাসহ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসরসহ শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে নিয়ে এসে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের মানুষ মৌলিক ও নাগরিক অধিকার এবং কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ, যুব সমাজকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাসহ মানুষের সকল কাঙ্খিত উন্নয়নের বাস্তবায়ন ঘটাতে সর্বস্তরের বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জবাসীকে তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে থাকার আহবান জানান।
জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব সৈয়দ আলবাব হোসেনের সভাপতিত্বে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির সদস্য নোমান আহমদ ও সিলেট মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব তোফায়েল আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি রহমতে এলাহী নাঈম লস্কর ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন।
এসময় বক্তারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান। তারা বলেন, এখনও আওয়ামী লীগের দোসররা ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা গণযোগদান কর্মসূচি পালন করছি। দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ গণ অধিকার পরিষদে যুক্ত হতে পারবে। তাদের সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই কর্মসূচি। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি উপজেলায় গণ যোগদান কর্মসূচি পালন করবো আমরা।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম, এবি আল মাহমুদ, লায়েক আহমদ, এম এ সামাদ, আব্দুর রহমান ও আমীর আলী, এনামুল হক সাজু, বিয়ানীবাজার উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ নেতা বিবেকানন্দ দাস বিবেক, যুগ্ম আহবায়ক পংকজ কুমার চৌধুরী, আলী এমরান সুমন, আবুল কাশেম, কাওছার আহমদ ও সুফিয়ান আহমদ, নারী অধিকার পরিষদের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক রেহনুমা আক্তার ও সদস্য সচিব জলি রানী এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার আহবায়ক রাবিয়া বেগম ও সদস্য সচিব আঞ্জুমান আরা শিল্পীসহ জেলা ও উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।