মাধবপুরের কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ জুইের ‘কল টু দ্য বার’ সম্পন্ন – Habiganj News

মাধবপুরের কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ জুইের ‘কল টু দ্য বার’ সম্পন্ন – Habiganj News

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান হাজী মোঃ আব্দুল হামিদের মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ জুই যুক্তরাজ্য থেকে সফলভাবে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন। গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী লিংকন’স ইন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ‘কল টু দ্য বার’ সম্পন্ন হয়।

তার মাতা হালেমা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—
শৈশব থেকেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে আসা ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ জুই নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মেধাতালিকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে মেধাবৃত্তি অর্জনসহ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উজ্জ্বল সাফল্যের সঙ্গে স্কুল জীবন শেষ করেন। এরপর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে আরও একবার প্রমাণ করেন তার মেধা, অধ্যবসায় ও সাফল্যের ধারা।

পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর তিনি ২০২২ সালে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে ২০২৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড (UWE), ব্রিস্টল থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে বার ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হয়ে ২০২৪ সালে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল’ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি কল নেন, যা পরদিন দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বর্তমানে ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ জুই ঢাকায় আইন পেশায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি সুপ্রিম ল ফার্মের ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিদেশি বিনিয়োগ, কোম্পানি আইন, ইনকাম ট্যাক্স ও পারিবারিক বিষয়ে আইনগত সেবা প্রদান করে তিনি সমাজের অবহেলিত মানুষ, নারীদের সহযোগিতা ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

তার এ গৌরবময় সাফল্যে পরিবার-পরিজন, এলাকাবাসী ও শুভানুধ্যায়ীরা গর্বিত ও আনন্দিত। সর্বস্তরের মানুষ তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তার স্বামী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন,
“তানিয়ার এ অর্জন শুধু আমাদের পরিবারের নয়, মাধবপুরবাসীরও গর্ব। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলেই আজ এ সাফল্য এসেছে। সামনে তিনি যেন মানুষের সেবায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

Explore More Districts