রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে ৫৬ বার ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি মাসে ২৬ বার আর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ বার। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিকল হয়েছিল ৩১ বার। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সর্বনিম্ন সোয়া ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে আট ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তি সময় লেগেছে যাত্রীদের।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন চালাতে যে পরিমাণ ইঞ্জিনের প্রয়োজন, তা নেই। জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন সচল রাখতে হচ্ছে। ইঞ্জিনগুলো বিরতিহীনভাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে ঈদের সময় যাতে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল না হয়, সে জন্য তাঁরা তৎপরতা শুরু করেছেন। ইঞ্জিন–সংকটের কারণে ঈদের সময় এবার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ১০ জোড়া থেকে কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সবুক্তগীন প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন–সংকটের পাশাপাশি বিকল হওয়ার সমস্যাও রয়েছে। তবে ঈদের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন যাতে মাঝপথে বিকল হয়ে না যায়, সে জন্য তাঁরা কাজ করছেন।