আমিষ সুষম খাদ্যের মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্যোপাদান। পেশি গঠন সহ অনেক অত্যাবশ্যকীয় কাজে আমিষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অনেকের ধারণা, শুধু মাছ-মাংস-ডিম জাতীয় খাবারেই আমিষ পাওয়া যায়।
রেডমিট বেশি পরিমাণে খেলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকে মাছ-মাংস খাওয়া খুব একটা পছন্দও করেন না। তবে উদ্ভিজ্জ বা নিরামিষ কিছু খাবার আছে, যা আমিষের প্রতিস্থাপক হতে পারে। ভারতীয় ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান উর্ভি গোহিল সম্প্রতি একটি পোস্টে, ১০টি নিরামিষ প্রোটিন খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছেন।
এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য উপাদানে কতটা ক্যালরি, প্রোটিন এবং শর্করা থাকে তা উল্লেখ করা হয়েছে-
১. ৫০ গ্রাম মসুর ডাল (কাঁচা)- ১৮৫ কিলোক্যালরি, ৯ গ্রাম প্রোটিন, ২৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
২. ৫০ গ্রাম কুইনোয়া (কাঁচা) – ১৮৫ কিলোক্যালরি, ৮.৫ গ্রাম প্রোটিন, ২৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৩. ৫০ গ্রাম শিমের দানা (রাজমা) – ১৭১ কিলোক্যালরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন, ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৪. ৫০ গ্রাম মটরশুঁটি (কাঁচা) – ১৭২ কিলোক্যালরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন, ২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৫. ৫০ গ্রাম মুগ ডাল (কাঁচা) – ১৭০ কিলোক্যালরি, ১২ গ্রাম প্রোটিন, ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৬. ১০০ গ্রাম দই – ৬০ কিলোক্যালরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৭. ২ টেবিল চামচ শণের বীজ – ১১০ কিলোক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৮. ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ – ১৩৭ কিলোক্যালরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৯. ১৫ গ্রাম বাদাম – ১০০ কিলোক্যালরি, ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
১০. ১০০ গ্রাম টোফু – ১৪৪ কিলোক্যালরি, ১৫ গ্রাম প্রোটিন, ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
আইএ