মহাসড়ক বেচাকেনার মূলহোতা গোলাম ফারুকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মহাসড়ক বেচাকেনার মূলহোতা গোলাম ফারুকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফাইল ছবি

মহাসড়ক বেচাকেনার মূলহোতা গোলাম ফারুক ও তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। মামলার অপর আসামিরা হলেন, গোলাম ফারুক (৪৬), খন্দকার মেহমুদ আলম ওরফে নাদিম (৫০), মোহাম্মদ ইকবাল (৬৩), মো. আব্দুল হামিদ (৫৯) ও মো.ইমানী চৌধুরী (৭১)।

মামলার এজাহারে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোলাম ফারুক গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ভুয়া জমি দেখিয়ে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। পরে ব্যাংক বুঝতে পেরে চাপ দিলে গোলাম ফারুক মহাসড়ক ও রাজউকের জমি এস্টাট করে দেয়। সেটিও ছিল ভুয়া। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুদক অনুসন্ধানের পর এই মামলা করে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এর আগে, যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল রাজধানীর উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি অংশ কেনাবেচার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ নিয়ে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর।

সেই তদন্তে বেরিয়ে আসে সহকারী সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী অবৈধভাবে অস্তিত্বহীন দাগ দিয়ে আব্দুল্লাহপুরের আবুল হোসেন মুকুলের নামে রাজউক এবং সড়ক জনপথ অধিদফতর ৪৮ শতাংশ জমি লিখে দেন। জমি দু’টির খতিয়ান বাতিল করে সরকারি সংস্থা দু’টিকে ফেরত দেয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

তদন্তে আরও উঠে আসে, অধিদফতরের সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী নিজ ক্ষমতাবলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারি সংস্থার দু’টি দাগ থেকে ওই জমি আবুল হোসেনের নামে রেকর্ড করে দেন। পরে এসব ভুল রেকর্ডের জমি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেন গোলাম ফারুক নামের আরেক ব্যক্তি।

দাগে গরমিল থাকলেও অধিগ্রহণের বাইরের জমি দেখিয়ে তৎকালীন এসি ল্যান্ড এস এম শফিক নামজারি করে দেন গোলাম ফারুককে। এরপর অস্তিত্বহীন দাগ আড়াল করতে ঢাকা জেলার সাব-রেজিস্ট্রার আরেকটি ভ্রমসংশোধন দলির করে দেন তাকে। সেটিও ছিল বড় ধরনের প্রতারণা। তবে যমুনা টিভির কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন ক্রেতা গোলাম ফারুক।

দেখুন মহাসড়কের সেই পর্বটি

/এনএএস

Explore More Districts