মোহাম্মদ সেলিম
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদে অফিস চলাকালীন সময়ে একাধিক কর্মকর্তার তালাবদ্ধ দু’টি রুমে লাইট জ্বলতে দেখা গেছে। তার সাথে সেখানে তখন বিদ্যুতের ফ্যানের পাখা চলতে দেখা যায়। ঘটনার
এই সময়ে দু’টি রুমের মধ্যে একটি রুম হচ্ছে মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের রুম। এই রুমটিতে অফিস করেন সচিব তামিনা তামান্না। আর অন্য রুমটি হচ্ছে মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের রুম। এটিতে অফিস করেন শায়লা আক্তার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এই দু’টি রুমের এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করা হয়। যে কোন কারণেই রুম দু’টি তালাবদ্ধ করা হলেও লাইট ও ফ্যানের পাখা বন্ধ করেননি এখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। চলমান ফ্যান ও লাইট জ্বলায় সরকারিভাবে এখানে বিদ্যুতের অপচয় ঘটেছে কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে। এইসব
বিষয়ে কর্মকর্তাদের জবাবদিহীতা না থাকায় এমনটি ঘটছে এখানে প্রতিনিয়ত।
যেখানে সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য প্রতিদিন রাতে ৮টার পর থেকে শপিংমল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ
দিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের দু’টি রুমে কেউ না থাকা সত্বেও বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে কর্মকর্তাদের খামখেয়ালির কারণে।
এদিকে এই সময়ে এখানে সেবা নিতে আসা নারী ও পুরুষরা বিচ্ছিন্নভাবে এই কর্মকর্তাদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে দেখা গেছে।
মহাকালী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ঢালী পরিষদের সবাইকে নিয়ে এই সময়টাতে এক আলোচনা সভায় বসেন। সভার কারণে তারা অফিস রুম তালা দিয়ে সভাতে যোগদেন বলে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে।
হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর শায়লা আক্তার জানান, আমি অফিস তালাবদ্ধ করে ব্যাংকে গিয়ে ছিলাম।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব তামিনা তামান্নাকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।