মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি, অভিযোগের পর কাজ শুরু

মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি, অভিযোগের পর কাজ শুরু

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের আলীপুর হরিবাসর মন্দির উন্নয়নের জন্য কাবিটা প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এই বরাদ্দের বিষয়টি গোপন প্রকল্পের সভাপতি ও ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জেসমিনা খাতুন এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন ৫০ হাজার টাকা করে ভাগাভাগি করেন। যা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল দুজনের মধ্যে সমন্বয় করে দেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে গত রোববার মন্দির কমিটির সভাপতি বসন্ত কুমার তালুকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জেসমিনা খাতুনের বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে চাপের মুখে পড়েন জেসমিনা খাতুন। ফলে বুধবার সকাল থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের অধীনে আলীপুর হরিবাসর মন্দির উন্নয়নের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেসমিনা খাতুন গত মার্চ মাসে পুরো টাকা উত্তোলন করেন। সম্প্রতি বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে পেরে মন্দির কমিটির লোকজন জেসমিনার সাথে যোগাযোগ করলে জেসমিনা বরাদ্দের কথা স্বীকার তিনি (জেসমিনা) এ বরাদ্দের ৬০ হাজার টাকা তিনি নিজে নিয়েছেন এবং বাকি ৪০ হাজার টাকা অন্যরা (অজ্ঞাত) নিয়েছে বলে জানান। মন্দির কমিটির লোকজন জানান, মাস দুয়েক আগে ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন ৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করে একদিন মন্দিরের সামনে কিছু মাটি ফেলেছে। তারা ভেবেছেন তাকে (জিয়া) সদস্য নির্বাচিত করায় তার (জিয়া) ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে মাটি ভরাট করে দিয়েছে।
জেসমিনা খাতুন বলেন, চেয়ারম্যান এ প্রকল্পের কাজে জিয়াকে সমন্বয় করে দেন। ফলে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।আমি কাজ করলেও জিয়া কোনো কাজ করেনি। বুধবার থেকে জিয়া ও আমার সমন্বয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করায় অভিযোগকারী অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে।
জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি জেসমিনার কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। দুজনের সমন্বয়ে নয়; গ্রামের লোকজন নিয়ে জেসমিনা কাজ শুরু করেছে। আমি এর সাথে নাই। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা ১০ ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছি। জেসমিনা আমাদের সাথে নেই। তাই এমনিতেই তার সাথে আমাদের বিরোধ। আমি ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে মন্দিরের সামনে মাটি ভরাটের কাজ করেয়েছিলাম।
মন্দির কমিটির সভাপতি বসন্ত কুমার তালুকদার বলেন, কাজের আশ্বাস পেয়ে চেয়ারম্যানের কথায় মঙ্গলবার অভিযোগ তুলে নিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, ৫০ হাজার টাকা করেতো আর প্রকল্প দেওয়া যায় না। আমি ৫ লাখ টাকা ১০ জনকে (ইউপি সদস্য) দিয়েছি। জেসমিনার প্রকল্পে জিয়ারও কাজ করার কথা ছিল। এখন জেসমিনা ও জিয়া দুজন মিলেই কাজ শুরু করেছে।

Explore More Districts