আপডেটঃ 5:28 pm | February 02, 2022
মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥ ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম. এ. মতিন স্মরনে ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানারঘাটে স্বাস্থ্য সেবা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি। ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন (১ আগস্ট ১৯৩৪-২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৪) বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক ও বিলুপ্ত ময়মনসিংহ-১৮ আসন (বর্তমান ময়মনসিংহ-১১) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১ আগস্ট ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহের ভালুকার সাতেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তাহের উদ্দিন শেখ এবং মাতা হাজেরা খাতুন। ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে মোস্তফা মতিন চতুর্থ। তিনি ১৯৫১ সালে ভালুকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বি.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা জেলা বারে আইন পেশায় যোগদান করেন।
মোস্তফা এম এ মতিন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করে আমৃত্যু আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এর পূর্বে মতিঝিল টি এন্ড টি হাই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছাত্রাবস্থাতে রাজনীতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন।
তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ ও ১৯৭৩ সালে বিলুপ্ত ময়মনসিংহ-১৮ আসন (বর্তমান ময়মনসিংহ-১১) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে তিনি ময়মনসিংহ-১১ আসন থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী সরকারের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে সরকারের অর্থনৈতিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে (২০০১ ও ২০০২) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরুপ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০০ সালে মোস্তফা এম এ মতিনকে ভাষা সৈনিক হিসেবে সংবর্ধনা ও স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। প্রথিতযশা আইনজীবি মোস্তফা এম এ মতিন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, উন্নয়নমুলক সংগঠনের গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুর পুর্বমুহুর্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বলিষ্ট নেতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ৫ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। উনার এক কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি।