জালিয়াতির অভিযোগে করা মণিরামপুরের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলো, পারখাজুরা গ্রামের মৃত বিধান চন্দ্র পালের দুই ছেলে মহাদেব পাল, পলাশ পাল ও রমেন দত্তের ছেলে নির্মল দত্ত।
গত ১২ অক্টোবর মণিরামপুরের পারখাজুরা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মুনছুর বাদী হয়ে এ মামলা করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান দূর্নীতিবাজ ও অসৎ প্রকৃতির লোক হওয়ায় টাকা ছাড়া ইউনিয়ন বাসীকে কোন নাগরিক সেবা দেননা। চেয়ারম্যান অপর আসামিদের কাছ থেকে লাভবান হয়ে অপর আসামিদের সহযোগীতায় ইউপি সদস্য মুনছুরের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একটি ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকের তৈরী করেন। যাতে মৃত জগবন্ধু পালের তিন ছেলে নাম উল্লেখ আছে। মৃত জগবন্ধু পালের অপর ছেলে অমারেশ পালকে বাদ দেয়া হয়েছে। আসামিদের জালিয়াতি করে তৈরী এ ওয়ারেশ কায়ে সার্টিফিকেট দিয়ে জমি বিক্রি করে দলিল করে দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর আসামিদের কাছে জাল স্বাক্ষর ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট তৈরীর কারন জানতে চাইলে আসামিরা খুন-জখমের হুমকি দেয়। পরে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করে গত ১০ অক্টোবর আদালতে এ মামলা করেছিলেন। বিচারক অভিযোগটি গ্রহন করে ২৩ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। গতকাল ধার্য দিনে শুনানি শেষে বিচারক ওই আদেশ দিয়েছেন।