মধ্যে মহাকালীর ইউনুসের শশুড়বাড়ি তালাবদ্ধ

মধ্যে মহাকালীর ইউনুসের শশুড়বাড়ি তালাবদ্ধ

মোহাম্মদ সেলিম
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহকালী ইউনিয়নের মধ্য মহাকালী গ্রামে জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে বিক্ষুব্দ জনতার হামলার ঘটনার পর থেকে সেই বাড়িতে এখন তালা ঝুলছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ বাড়ির বসতিরা এখন অনত্র চলে গেছে। একাধিক সূত্র মতে তারা এখান থেকে আরো দক্ষিণে মালের বাড়ির তাদের পুরনো বসতবাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।

যে বাড়িতে হামলা হয়ে ছিল সেখানকার আশপাশে কোন বাড়ি ঘর নেই একেবারেই। তাই তারা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছিলেন। মদিনাতুল মুনওয়ারা দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখানে বিক্ষুব্দ জনতা এ বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা সময়ে এ বাড়িতে নারী ও শিশুরা বসবাস করতেন।

তারপর থেকেই এ বাড়িটি ফাঁকা হয়ে যায়। এ বাড়ির জামাতা ইউনূস প্রধান ছিলেন মদিনাতুল মুনওয়ারা দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। মরিয়ম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইউনূস প্রধানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই বাড়ির উত্তর দিকে টিনের ঘরে একই ব্যানারে ছেলেদের জন্য আরো একটি মাদ্রাসা ছিল। হামলার ঘটনায় এটিও এখন বন্ধ রয়েছে।

এখানে মাদ্রাসার নামে স্থানীয় বিত্তবানদের থেকে জয়নাল আবেদিনের ছেলে মাওলানা মুফতি জামালউদ্দিন বিপুল পরিমাণ অর্থ তোলাবাজি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই তোলাবাজির টাকা দিয়ে মাওলানা মুফতি জামালউদ্দিন মধ্যে মহাকালী গ্রামে পাকা একতলা ভবন তৈরি করেন। আর সেখানে ইয়ারকুলের ঠান্তা হাওয়ায় তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে বিলাশবহুল জীবন যাপন করতেন।

এ বাড়ির পূর্ব দিকে খালি নিচু জায়গায়তে দালানের একাধিক কলাম দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার এটি দেখিয়ে মাওলানা মুফতি জামালউদ্দিন নতুন মাদ্রাসা তৈরি করবেন বলে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা তোলার চেষ্ঠা কালেই এ বাড়িতে হামলার ঘটনায় তা গুরে বালি হয়ে গেছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন। মদিনা

বাজারে মরিয়ম হত্যাকান্ডে মদিনাতুল মুনওয়ারা দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা ও এ বাড়িতে ছেলেদের জন্য মাদ্রাসা দুটি এখন পড়ালেখা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একাধিক সূত্রের দাবি রামপাল ও বজ্রযোগিনীতে মাওলানা মুফতি জামালউদ্দিনের আরো একাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। সেগুলো এখানো চলমান রয়েছে। এসব ঘটনায় এখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ইউনূস প্রধানের শালিকা জানান, মরিয়ম হত্যাকান্ডে তাকে পুলিশ আদালতে ১৬৪ ধারায় ও পুলিশের কাছে ১৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়ার জন্য বলা হয়ে ছিল। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে দাবি করেছেন যে, এ ঘটনায় তিনি কোনভাবে জড়িত নন। তাই তিনি ঐ দু’টি ধারায় কোন জবানবন্ধি দেননি বলে জানা গেছে।
সরোজমিনে এ বাড়িতে ঘুরে দেখা যায়, তারাবদ্ধ প্রধান দালান ছাড়াও পাশে দালানের অংশে টিনের বেড়া ভাঙাচুরা হামলার দৃশ্যে চোখে পরে।

সেখানে হামলায় ভেঙ্গে যাওয়া জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আলু ও একাধিক চাল কুমড়াও দেখতে পাওয়া যায়। ফ্যানের পাখার বেশিরভাগ অংশই ভাঙা। বাড়িতে তালাবদ্ধ থাকলেও কেউ এ বাড়িতে আসলে অদৃশ্যেভাবে কৃষিকাজের অজুহাতে একাধিক লোকজন এখানে এসে হাজির হয়। তারা নানা কথাবার্তা জিজ্ঞেস করে। এ প্রতিয়মান হয় যে, মাওলানা মুফতি জামালউদ্দিন এখানে তার নিজস্ব স্পাই নিয়োগ করেছেন।

Explore More Districts