দুহন আল-লৌজ (মৃ. ১২১৬ খ্রি.): দামেস্কে তিনি চিকিৎসক ও মুসলিম পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর দক্ষতা চিকিৎসা ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমানভাবে প্রশংসিত হয় (আল-সাঈদ, আল-তিব, পৃ. ২৩৪)।
নুরুদ্দিন জানকি ১১৫৬ খ্রিষ্টাব্দে আল-নুরি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বিনত দুহন আল-লৌজের সময়ে চালু ছিল। এই হাসপাতালে নারী চিকিৎসকেরা প্রায়ই নারী রোগীদের চিকিৎসা করতেন, বিশেষ করে প্রসূতি ও গাইনোকোলজির ক্ষেত্রে।
উম্ম হাসান বিনত কাজি তানজালি (১৪ শতক): আন্দালুসে তিনি চিকিৎসা শিক্ষা ও অনুশীলনে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি চিকিৎসা গ্রন্থ না লিখলেও তাঁর শিক্ষাদান কোরআনের তাজবিদ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রভাব ফেলে। তিনি বলতেন, ‘লেখকেরা লেখেন, কর্মীরা করেন।’ (আবু বকর ও আল-সাদি, আন-নিসা ওয়া মিহনাত আল-তিব, পৃ. ২১২, কায়রো: দারুল কুতুব, ১৯৯৯)
শিহাবুদ্দিন আল-সায়িগের কন্যা (মৃ. ১৭ শতক): কায়রোর আল-মানসুরি হাসপাতালে প্রধান চিকিৎসক ছিলেন। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে নারী ও পুরুষ চিকিৎসকেরা একযোগে কাজ করতেন। (আল-সাঈদ, আল-তিব ওয়া রায়িদাতুহু আল-মুসলিমাত, পৃ. ১৮৯, আম্মান: দারুল ফিকর, ১৯৮৫)।
এ ছাড়া আব্বাসীয় যুগে মাহবুবা (মৃ. ৮৬১ খ্রি.) বাগদাদে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন এবং তাঁর কাজ সমাজে প্রশংসিত হয়। (আল-সাঈদ, আল-তিব, পৃ. ২৪৫)