ওয়াশিংটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি – মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের তরফ থেকে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উৎখাতের প্রস্তাবের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল পৌঁছালেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সফরে হামাসের হামলার ফলাফল, গাজার বর্তমান অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন রবিও।
গত ২৫ জানুয়ারি এক বিস্ফোরক প্রস্তাবে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা উচিত। তার এই প্রস্তাব আম্মান ও কায়রোর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়।
এরই ধারবাহিকতায় ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প গাজা দখলের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে পুনর্বাসন করে গাজার দখল নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তার প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা এই উচ্ছেদ পরিকল্পনা স্বল্প সময়ের জন্য কার্যকর হবে বলে দাবি করলেও, ১০ ফেব্রুয়ারি আরেক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার পরিকল্পনা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনিদের গাজায় ফেরার সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আলোড়ন ওঠে বিশ্বজুড়ে। বিশেষত, দীর্ঘদিন ধরেই জন্মভূমির অধিকার স্থায়ীভাবে হারানোর আশঙ্কায় থাকা ফিলিস্তিনিরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
এদিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প তৈরির জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাজ করছে আরব বিশ্ব। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, সেটা তারা নিজেদের পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেবেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫