সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে গিয়ে ফ্রিতে নৌকা না দেওয়ায় পর্যটনঘাটে কর্মরত উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে সিলেট রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জজুড়ে সমালোচনার চলছে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের নৌকাঘাটে কর্মরত উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ও ঘাটের খাস কালেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী জাবেদ আহমদের সাথে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাবেদ আহমদ জানান, সিভিল পোশাকে নৌকাঘাটে এসে ঘাটে কর্মরতদের কাছে তিনি নৌকা চান। আমরা উনাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আটশো টাকা পরিশোধ করে নৌকা নেওয়ার বিষয়টি অবগত করা মাত্রই তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন ‘আমাকে চিনিস আমি অ্যাডিশনাল ডিআইজি। আমি টাকা দিয়ে কেন নৌকা নিবো?’ এ কথা বলেই অনেক মানুষের সামনে তিনি আমার গায়ে হাত তুলেন এবং কয়েকটি থাপ্পড় মেরে চলে যান। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ থানার একজন এসআইও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। ঘটনার পর নৌকাঘাটের মাঝিরা উক্ত ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু সময় নৌকা চালানো বন্ধ করে দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি স্যার এসে সবাইকে শান্তনা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এমরান আহমদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, পুলিশ বাহিনীর একজন সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়ে অন্য একজন নিম্ন কর্মচারীর উপর হাত তোলার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত ও লজ্জিত । এ কর্মকর্তার শাস্তির দাবী করেন তিনি।
ঘটনার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। নৌকাঘাটে কর্মরত একজনের সাথে স্যারের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার আবুল হাসনাত জানান, নৌকাঘাটে এডিশনাল ডিআইজি স্যারের সাথে প্রশাসনের কর্মরত একজন কর্মচারীর একটি জামেলার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি পুরোপুরি জানি না। ইউএনও স্যার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার সাংবাদিকদের জানান, বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। মিস বিহেভ হয়েছিল। পরে তিনি এ ঘটনার জন্য জাবেদ আহমদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।