ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রীর খোঁজখবর নিলেন নাহিদ ইসলাম

ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রীর খোঁজখবর নিলেন নাহিদ ইসলাম

সৌদি আরবের নিষ্ক্রিয়তার ফলেই ফিলিস্তিনে এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসন হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ। এটা ধর্মীয়ভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশ কর্তৃক যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মীয়ভাবে যদি আগ্রাসন মোকাবিলা করা সম্ভব হতো তাহলে সৌদি আরব শহর আরব দেশগুলো এরকম নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতো না এবং সাম্রাজ্যবাদের সহযোগী ভূমিকা পালন করতো না।

তিনি বলেন, আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের একহাত যদি হয় ইসরায়েল, তাহলে আরেক হাত আমরা দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরব। 

ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, গাজায় কয়েকদিন আগে একটা যুদ্ধবিরতির নাটক হয়েছিল। অনেকেই বলছিলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে বাইডেনের সমালোচনা করেছেন এবং বাইডেন যেহেতু সরাসরি এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন, সেজন্য ট্রাম্প এসে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন এবং যুদ্ধ থামবে। ট্রাম্প যেহেতু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছেন সেহেতু ফিলিস্তিনের পক্ষেও তার একই রকম ভূমিকা থাকবে। কিন্তু কাগজে কলমে যুদ্ধ বিরতি আছে। সেটার ওপর ভরসা করে গাজার অনেক নারী শিশু গাজায় ফিরে এসেছিলেন, এবং নতুন করে এই ধ্বংসস্তুপে জীবন খোঁজার চেষ্টা করছে। তখনই ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু পরিষ্কার আলাপ আলোচনা করে সম্মতি নিয়ে একটা বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরায়েল আবার বর্বর হামলা শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ সম্পূর্ণ একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থায়। এই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার পতন না হলে সারা বিশ্বের কোনো মানুষ, কোন অঞ্চল নিরাপদ নয়। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর করতে হয়, তাহলে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই একসঙ্গে যুগপৎভাবে অগ্রসর করতে হবে।

ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফিলিস্তিনে যে হত্যাকাণ্ড চলছে, গতকাল এই সংখ্যা ছিলো ৪১৩ জন আজকে ১ হাজারে পৌঁছেছে। এর পেছনে যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমর্থন আছে, এটা স্পষ্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে আজকে এই নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে। আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার, এই গণহত্যা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী গণহত্যা। আমরা আমাদের দেশে যেভাবে শিশু হত্যা দেখি, শিশু ধর্ষণ দেখি, ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা করতে দেখি সেই একই কাণ্ড দেখছি জায়নবাদী ইসরায়েলীরা করছে ফিলিস্তিনে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের যে লড়াই, সে লড়াই আমাদেরও লড়াই। পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। আমাদের যে সমর্থন সেটা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতি সমর্থন। আর আমরা এটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদকে যদি বিদায় করতে না পারা যায় এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ক্রমাগত ঘটতে থাকবে এবং পরের ঘটনা আগের ঘটনাকে ছাপিয়ে যাবে। যেটা আমরা ফিলিস্তিনে দেখতে পাচ্ছি।

Explore More Districts