ভারতীয় সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ, ‘পানির দরে’ বিক্রি করতে বাধ্য ব্যবসায়ীরা – DesheBideshe

ভারতীয় সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ, ‘পানির দরে’ বিক্রি করতে বাধ্য ব্যবসায়ীরা – DesheBideshe

ভারতীয় সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ, ‘পানির দরে’ বিক্রি করতে বাধ্য ব্যবসায়ীরা – DesheBideshe

নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর – বাংলাদেশের বাজারে স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পর চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের রপ্তানিকারকরা। সীমান্তে আটকে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করায়, নাসিক থেকে ২২ রুপি খরচ করে আনা সেই পেঁয়াজ এখন মাত্র ২ রুপি কেজিতে ‘পানির দরে’ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

শুক্রবার(২৮ নভেম্বর) মালদহের মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্তে দেখা যায়, ৫০ কেজির বস্তা মাত্র ১০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মালদহের স্থানীয় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০-২২ রুপি। মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে সীমান্তে এত কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারায় ক্রেতারা ছুটে আসছেন, কিন্তু এটি রপ্তানিকারকদের জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বাংলাদেশি আমদানিকারকদের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মাহাদিপুর ও হিলি সীমান্তে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছিল। শুধু মাহাদিপুরেই ছিল প্রায় ২০ হাজার টন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলে প্রতি কেজিতে ৩০-৩২ রুপি দরে বিক্রি করে ৮-১০ রুপি লাভ হতো। এখন রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। ক্ষতি কমাতে প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক লাগিয়ে পচা পেঁয়াজ আলাদা করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ী সাজিরুল শেখ বলেন, ২২ রুপি কেজি দরে নাসিক ও ইন্দোর থেকে পেঁয়াজ এনেছিলাম। এখন পচা শুরু করায় বাধ্য হয়ে ২, ৬ বা ১০ রুপিতে বিক্রি দিচ্ছি। আরেক ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ পরিষ্কার জানিয়েছে, তারা এখন পেঁয়াজ নেবে না।

মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দু’মাস আগেও বাংলাদেশে রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল, সেই ধারাবাহিকতায় মজুত করা ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ এখন তাদের মাথাব্যথার কারণ। অন্যদিকে, এত কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ভারতীয় ভোক্তারা সন্তুষ্ট নন। মালদহের ক্রেতা খাইরুল হক বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলায় বাজারের এই অবস্থা। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত, আর খুচরা বাজারে দাম এখনও ২০-৩০ রুপি।

কলকাতাসহ আশপাশের শহরে এখনও তুলনামূলক ভালো মানের পেঁয়াজ ২৫-৩০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, গুদামে থাকা স্টক বাজারে আসতে শুরু করলে দাম আরও কমে যেতে পারে।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ৩০ নভেম্বর ২০২৫



Explore More Districts