ভান্ডারিয়ায় শিশুর পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান

ভান্ডারিয়ায় শিশুর পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান

২৮ October ২০২৫ Tuesday ১১:১৭:১৯ PM

Print this E-mail this


ভান্ডারিয়া ((পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

ভান্ডারিয়ায় শিশুর পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান

কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ছয় বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেছে। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিল পাঠদান।

শিকলে শিশুটির পায়ে ব্যথা হয়ে যায়। তবু অবাধ্য ছাত্র হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশু ওসমান মল্লিকের পা শিকলে বেঁধে পাঠদান করছিল।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ধাওয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান।

পরে ভাণ্ডারিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার খবর পেয়ে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর শিশু ইয়াসিন মল্লিক পায়ের শিকল মুক্ত হয়।

ভুক্তভোগী শিশু ইয়াসিন ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর ইয়াসিনের বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির এক পায়ে শিকল পরাতে হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করা হয়েছে।

শিশু ইয়াসিনের বড় ভাই আবুবকর বলেন, ইয়াসিন মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। দুইবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে। পড়তে যেতে চায় না। এ কারণে মাদ্রাসায় শিকল দিয়ে এসেছিলাম। শুনেছি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে। এমন কাজ আর হবে না।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts