মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত মো. সোহেল রানা পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি ঢাকায় একটি বুটিক হাউজে চাকরি করতেন। পঙ্গুত্ব বরণ করে চাকরি হারিয়েছেন তিনি। ৬ জনের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি পঙ্গু হওয়ায় পুরো পরিবারটি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের আব্দুস সত্তার মোল্যার ছেলে।
এ বিষয়ে মো. সোহেল রানা বলেন, আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। আওয়ামী সরকারের পতনের সংবাদে ৫ আগস্ট গণভবন থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। আমি সেই বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করি। মিছিলটি আদাবর থানার সামনে গেলে পুলিশের সাথে আমাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৫ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যায়। পুলিশ সরে গেলে ছাত্র-জনতা আমাদের ৫ জনকেই উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে আমাদের ২ জনকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ সেখানে আমি দেড় মাস চিকিৎসাধীন ছিলাম। পরে আমাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি আমার মাজার নিচে হিপ জয়েন্ট ছুটে গেছে। দুই-তিন সপ্তাহ পর সেখানে আমার অপারেশন করা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস থাকার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে আমি আর হাটতে পারি না। ডাক্তার আমাকে জানিয়েছেন, আমার এ সমস্যা কখনো ঠিক হবে না, যতদিন বেঁচে থাকবেন এভাবেই চলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমার পরিবারের ৬ জনের ভরণপোষণের সকল দায়িত্ব আমার উপর। আমি ঢাকাতে একটা চাকরি করতাম। আমি সেটাও হারিয়েছি। আমি আর্থিকভাবে খুব অসহায় হয়েছি। এখন পর্যন্ত জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে শুধুমাত্র এক লাখ পেয়েছি। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
পোষ্ট শেয়ার করুন