বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে প্রথম উঠান বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

আমন ধান কাটার এই গ্রামের জমি এখনো কেন পতিত পড়ে আছে, কৃষকদের কাছে সে বিষয়ে বিস্তারিত শোনেন কৃষিমন্ত্রী।

মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে ও কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরো বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কী কী সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য- ‘এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না’, তা অর্জন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করা হবে।

কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আরো বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরো বাড়াতে পারলে কারো পেটে ক্ষুধা থাকবে না। খাদ্য আমদানি করতে হবে না। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।

বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Explore More Districts