ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এনবিআরের শর্তে ই-বাইক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের কারখানায় প্লাস্টিক হাউজিং বা কেসিং তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (যেমন ইনজেকশন মোল্ডিং মেশিন, ড্রায়ার, গ্রাইন্ডার, পেইন্ট বুথ প্রভৃতি) বসাতে হবে। কিন্তু এই প্লাস্টিক হাউজিং বা কেসিং মূলত ব্যাটারির অংশ। অথচ ই-বাইক প্রস্তুতকারকদের এই ব্যাটারির অংশ তৈরি করতে বাধ্য করা হচ্ছে; বিষয়টি ব্যয়বহুল ও লাভজনক নয়, বরং তা ব্যাটারি–সংশ্লিষ্ট অন্য শিল্পের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআরের এসআরওতে ই-বাইক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কারখানায় মোটর উৎপাদন করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোটর উৎপাদনে উৎসাহ দিতে আলাদা প্রণোদনা রয়েছে। ই-বাইক প্রস্তুতকারীদের যদি মোটর তৈরি করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে মোটর শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রজ্ঞাপনের আরেকটি ধারায় ই-বাইক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কারখানায় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, পিসিবি সাধারণত মোবাইল ফোন বা এ ধরনের পণ্য উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ই-বাইক প্রস্তুতকারীদের জন্য পিসিবি উৎপাদন বাধ্যতামূলক করা যৌক্তিক নয়।
এনবিআরকে লেখা চিঠিতে বামা বলেছে, ওপরে উল্লেখিত শর্তগুলো শিথিল করা না হলে বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল উৎপাদনে নতুন উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন এবং শিল্প খাতের বিকাশ ব্যাহত হবে। ফলে সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী শর্তগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। অন্যথায় সরকার পরিবেশবান্ধব যানবাহনের দিকে যে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা।