বেপারী সংকটে লোকসানে সাতক্ষীরার গরুর খামারিরা

বেপারী সংকটে লোকসানে সাতক্ষীরার গরুর খামারিরা



Post Views:
৫৯

নিউজ ডেস্ক:

ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় জমে উঠেছে সাতক্ষীরার কোরবানির পশুর হাট। দরকষাকষিতে ব্যস্ত তারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাইরে থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী না আসায় বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

সরেজমিনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়াই হাজার গরু বিক্রির উদ্দেশে হাটে তুলেছেন খামারি ও বেপারীরা। পছন্দের পশুটি কিনতে বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। দরদাম সমন্বয় করে কেনার চেষ্টা করছেন।

হাটের সেরা গরুটি সংগ্রহ করেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালি গ্রামের ব্যবসায়ী তিনি। এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি সংগ্রহ করেছেন এই ব্যবসায়ী।

Dhaka post

ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, কোরবানির জন্য গরুটি কিনলাম। গরুটি আজকের হাটে আসা সব থেকে বড় গরু। ন্যায্যমূল্যে গরুটি ক্রয় করতে পেরেছি।

হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি ওবায়দুর রহমান বলেন, এখন গরুর খাবারের দাম বেড়েছে। খাবারের দাম বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গরুর দাম বৃদ্ধি করা হলে চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া দেশের উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকার অনেক খামারি গো-খাদ্য ও শুকনো জায়গার অভাবে লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে বাইরের বেপারিরা সাতক্ষীরার স্থানীয় হাটগুলোতে না আসায় লোকসান হচ্ছে।

আবাদেরহাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় গরুর দাম বেশি থাকলেও বেচাকেনা স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এ বছর বাইরের জেলার বেপারিদের আনাগোনা কম। আজ আড়াই হাজার গরু হাটে উঠেছে। বিক্রি হয়েছে ৩০০ গরু। দিনশেষে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৭টি। আর কোরবানির জন্য পশু মজুত রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫টি। যা চাহিদার চেয়ে ৪৭ হাজার ৯৮টি বেশি। জেলার সাত উপজেলার ৯ হাজার ৯৩০টি খামারসহ পারিবারিকভাবে এসব পশু পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ২৮ হাজার ৮০৩টি, ছাগল ৭৪ হাজার ৪৯৯টি, ভেড়া ৩ হাজার ৭০৭টি ও মহিষ রয়েছে ৯৯৬টি। জেলায় ১৫টা স্থায়ী ও ১৯টা অস্থায়ী হাটে বেচাকেনা চলছে। জেলায় পালিত এসব পশুর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার টাকা।

সাতক্ষীরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ পশু সাতক্ষীরায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যেটা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। তবে গোখাদ্যের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়ে তুলনামূলক কম দামে পশু বিক্রি করছে খামারিরা।

Please follow and like us:


Tweet
20

Explore More Districts