নটর ডেমের সেরা শিক্ষার্থী বলে কথা! তাই দুই বন্ধুর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার চাপও ছিল। এসব চিন্তা মাথায় না নিয়ে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাহির-তানযীম। ভালো করতে হলে সব সময় পড়তে হবে বা ক্লাসের সবার থেকে অনেকে এগিয়ে থাকতে হবে, এমনটা মনে করেন না দুই টপার। তাঁদের বক্তব্য, ক্লাসের নিয়মিত গতিতে এগোলেই চলে। তবে পড়ার বিষয়টা বুঝতে হবে গভীরভাবে।
সমস্যা সমাধান, প্রোগ্রামিং, গণিত ইত্যাদির প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসাই তাঁদের কম্পিউটার প্রকৌশলে ভালো করতে সাহায্য করেছে। তাই নতুনদেরও পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন দুই তরুণ শিক্ষক।
ভবিষ্যতে তাঁরা দুজনই ‘একাডেমিক দুনিয়া’য় থাকতে চান। যুক্ত থাকতে চান গবেষণায়।
এ দুজনের থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন অধ্যাপক মো. সামসুজ্জোহা বায়েজীদ। তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই এ ফলাফল করা কঠিন। বুয়েটের সিএসইর মান বিবেচনায় আট টার্মে এটা ধরে রাখা খুবই কঠিন। ৪-এ ৪ পাওয়ার ঘটনাই বিরল। সেখানে ওরা দুজন একসঙ্গে পেয়েছে। মেধাবী তো বটেই, কিন্তু একদম প্রথম থেকেই খেয়াল করেছি, ওরা নিজেদের কাজের প্রতি আন্তরিক ও কঠোর পরিশ্রমী। গবেষণার ক্ষেত্রেও ওরা অনেক ভালো কাজ করছে।’