বিস্কুট দিয়েই বিদ্যালয় ছুটি

বিস্কুট দিয়েই বিদ্যালয় ছুটি

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ১৯ দিন ছুটি শেষে খোলা হলো বিদ্যালয়। কিন্তু পাঠদান না করে শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধুমাত্র বিস্কুট বিতরণ করে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। ফলে দুপুরেই বিদ্যালয়টি হয়ে যায় তালাবদ্ধ। গত রবিবার ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনটি ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ এক সহকারী শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৪৮ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ জন শিক্ষকের বিপরীতে ১৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আবার ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে শাহরিয়ার কবির ও হিরামনি নামের দুই জন শিক্ষক প্রশিক্ষণে ও লাভলী আক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক রুমেলা আক্তার ও আরেক সহকারী শিক্ষক মিনা আক্তার বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক সংকট থাকায় প্রধান শিক্ষকের স্বামী মঞ্জুরুল হক প্যারা (ভাড়া) শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয়ে পাঠদান করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার স্বামী বিদ্যালয়ে পাঠদান চালান। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু ও নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। ফলে দিন দিন এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। রবিবার দীর্ঘ ১৯ দিন ছুটির পর বিদ্যালয় খোলা হয়। কিন্তু ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের গেইট তালাবদ্ধ। কোনো শিক্ষক—শিক্ষার্থী নেই। এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ফয়েজ মিয়া জানান, ঘন্টা দুয়েক আগে (১/২টা) বিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, প্রায়ই এমনটি হয়।
সহকারী শিক্ষক মিনা আক্তার বলেন, ‘বিস্কুট দেওয়ার কারণে আজ ছুটি হয়েছে। কিন্তু ক্লাস হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমেলা আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় যথা সময়েই খোলা হয়। হাওরে চলাচলে সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে ১০টা বেজে যায়। আজ (রবিবার) আড়াইটার দিকে ছুটি হয়েছে। বিস্কুট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা চলে গেছে। সব সময় এ রকম হয় না।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘কেন নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

Explore More Districts