বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত, তবে অধ্যাদেশসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত, তবে অধ্যাদেশসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ

সম্প্রতি এসব কলেজ একীভূত করে সরকার যে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করছে, তার কাঠামো নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে নতুন যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা কাটেনি। বরং নতুন নতুন সংকট সামনে আসছে। প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে শিক্ষকেরা এর আগে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিলেন। আজ থেকে টানা তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ—এসব বিষয়ে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক চাহিদাকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫ ’-এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠায়।

অধ্যাদেশের খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অংশীজন ও সর্বসাধারণের মতামত আহ্বান করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সুধীজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া যায়। অনলাইন ও সরাসরি মতামত গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ পর্যন্ত তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করছে। মতামত পর্যালোচনা করে খসড়াটি পুনর্মূল্যায়ন ও পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে।

Explore More Districts