সবুজের সমারোহ। ঝিরিঝিরি বাতাসে সবুজের ঢেউ খেলানো সেই দৃশ্যে মুগ্ধ সবাই। কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন লুকিয়ে আছে সবুজ ধানক্ষেতে।চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। শরতের রোদ বৃষ্টির খেলায় সবুজ ধানের আভা ছড়িয়ে পড়েছে সবদিকে। ফসলের মাঠের কোথাও ফাঁকা নেই। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আবার কখনো কালো মেঘ ধারণ করে জমিতে বয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টি।বিকেলে রংধনুতে যেন সবুজের গাঢ় রঙে একাকার হয়ে যায় আমনের মাঠ।এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতি বছর দেখা যায় বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ বছর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মাঠ আমন ধানে ভরে গেছে এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী আমনের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।
সরেজমিনে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আমন ধানের ক্ষেত প্রকৃতির খেয়ালে গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান গাছ ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে তারা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার, সার ও কীটনাশক প্রয়েগ করছেন।মাঝে মধ্যে হচ্ছে বৃষ্টি তাই তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।
কৃষক সুজন মিয়া বলেন, পোকামাকড় কিংবা আগাছাজনিত কারণে যাতে ফসল নষ্ট না হয় সে কারণে আমরা সব সময় জমি নজরদারী করছি।সময় মতো জমিতে চারা রোপন সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে পেরেছি বলে ধান গাছ দ্রুত বেড়ে উঠছে।জমির দিকে তাকালে মন ভরে যায়।
এ বছর উপজেলার ১৩ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো অনেক বেশী। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের আমন চাষ ৫০ হেক্টর, উপসী জাতের ১০৪৪০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের বিভিন্ন প্রকার ২৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন,উপজেলার কৃষকদেরকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় চারা রোপন ও পরিচর্যায় কৃষকেরা সঠিকভাবে কাজ করতে পেরেছে। তাদেরকে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন