আর কয়েকটা দিন পরই ঈদুল আযহার পশু কোরবানির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মনের পশুত্বকে বিলিন করতে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মাতবেন সারা বিশ্বের মুসলমানগন।চলতি বছর ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধ থাকায় পশুর হাটের চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন।প্রতিটি বাজারে দেশী গরুতে ভরপুর।আর তাতেই দাম নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সরেজমিনে সিলেটের একমাত্র প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়,বেশ জমজমাট চলছে বেচাকেনা। হাটগুলিতে বড় গরু থাকার পরও মাঝারী আকৃতির গরু ক্রয় করছেন বেশী।পাশাপাশি ছাগল ও ভেড়া ক্রয়ে ব্যস্ততা রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। পশুর মালিকরা দাম বেশী হাঁকালেও শেষ পর্যন্ত দাম কষাকষিতে উভয়ের সাধ্যের মধ্যে থেকে পশু ক্রয় বিক্রয় করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।এ বছর পশুর দাম নিয়ে খুশি ক্রেতারা।অপরদিকে পশু অনুযায়ী পর্যাপ্ত দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট অনেক বিক্রেতারা।আবার অনেকে বলছেন হাটগুলিতে উপজেলার আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার খামারী ব্যবসায়ীসহ দেশী ও প্রবাসী ক্রেতাদের আগমন বেশি।
হাটে পশু ক্রয় করা আপ্তাব আলী জানান, এ বছর পশুর হাটে দাম মোটামুটি ভাল।এতে করে পশু ক্রয় করতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
বিক্রেতা সমসর আলী জানান,ভাল দামে পশু বিক্রি করতে পেরে নিজের খুবই ভাল লাগছে।আশাকরি এখন হাসিমুখে বাড়ী ফিরতে পারবো।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সহীদ হোসেন জানান, এ বছর কোরবানির হাটে খামারী ও ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা নির্বিঘ্ন করতে করতে ৪ টি ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম মাঠে রয়েছে। হাটে যদি কোন পশু অসুস্থ বা কোন প্রকার সমস্যা হয় তারা দ্রুত চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত।