স্পাইডার ম্যান হিসেবে টম হল্যান্ডের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পর্দার আড়ালে এই তারকা যে নীরব সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তা হয়ত অনেকেরই অজানা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হল্যান্ড অকপটে জানিয়েছেন তার ডিসলেক্সিয়া এবং অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার নিয়ে সংগ্রামের কথা। কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি আজ হলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা সেই গল্পই তিনি জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে বিরল রোগটির বিষয়ে টম হল্যান্ড বলেন, ‘আমার এডিএইচডি এবং ডিসলেক্সিয়া আছে। যখন আমাকে একটি নতুন চরিত্রের জন্য খালি ক্যানভাস দেওয়া হয়, তখন আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই। চরিত্র ফুটিয়ে তোলার সময় এই ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রায়ই আসে।’
তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার কৌশল একেবারেই ভিন্ন। তার কথায়, ‘আমি আমার ভেতরের শিশুসত্ত্বাকে জাগিয়ে তুলি। ‘খেলা’র ছলে আমি চরিত্রটিকে ধারণ করার চেষ্টা করি। একজন তরুণ বা প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে, এমন কিছুতে যুক্ত হওয়া উচিত যা আপনাকে সৃজনশীল হতে এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে চিন্তা করতে বাধ্য করে। যত বেশি আমরা এ ধরনের কাজ করব, ততই আমরা ভালো করব।’
প্রসঙ্গত, মাত্র ৭ বছর বয়সে তার এই রোগটি ধরা পড়ে। এটি মূলত পড়া এবং বানানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে জে শেঠির ‘অন পারপাস’ পডকাস্টে তিনি জানান, বানান করাই তার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ছিল।
এনএন