স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়স বাড়তে থাকায় গোলাপ ফকির নিজের দেখাশোনার জন্য আবার বিয়ে করতে সন্তানদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাবার এ আগ্রহের প্রতি দুই মেয়ে ও এক ছেলের সম্মতি থাকলেও এক ছেলে রাজি হচ্ছিলেন না। ওই ছেলের নাম সাদ্দাম ফকির (৩০)। তিনি জানান, সৎমাকে দেখাশোনা করবেন। সেই বিয়ের আগে জমিজমা সব ভাগ করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে গোলাপ ফকিরের মেয়ে রানী বেগম ও স্বজনেরা মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে গোলাপ ফকিরকে বিয়ে করান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোলাপ ফকির শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে আসেন। এর ঘণ্টাখানেক পর দা নিয়ে বাবার দিকে তেড়ে যান সাদ্দাম। এ সময় বড় বোন রানী বেগমকেও মারধর করেন। ছেলের হাত থেকে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করেন গোলাপ ফকির। এ সময় দৌড়ে এসে তাঁর দুই হাত ও ঘাড়ে কোপ দেন ছেলে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালান সাদ্দাম। পরে গোলাপ ফকিরকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।