
ছবি প্রতীকী
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক কলেজছাত্রীকে (২৬) ধর্ষণের অভিযোগে আমির হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আমির হোসেন পৌরশহরের গাজিটেকা আইলাপুর এলাকার মৃত নজির আলীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মীয়তার সুবাদে আমির হোসেন প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সুযোগে আমির ওই বাড়িতে যায়। পরে ছাত্রীটিকে কাঠালগাছের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। সেই আশ্বাসে ঘটনাটি আর প্রকাশ করা হয়নি।
পরবর্তীতে ১০ আগস্ট মেয়েটি কলেজে গেলে আমির তাকে কোর্ট ম্যারেজের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রীটি অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, আমির দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে মেয়েটিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল। তারা জানান, “আমাদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার নির্যাতন করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
স্থানীয়রা জানান, আমির হোসেন এলাকায় মিশুক স্বভাবের হলেও তার চলাফেরায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “সে আত্মীয়তার সুযোগ নিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজকে কলঙ্কিত করে।”
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, “কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা নিয়ে তদন্ত চলছে।”
গ্রামীণ সমাজে প্রেমের সম্পর্ক থেকে প্রতারণা ও বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা প্রায়ই আলোচনায় আসে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন থাকলেও বাস্তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। স্থানীয়দের মতে, পরিবার ও সমাজ সচেতন হলে এবং আইনগত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে এ ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।