সালমান কেন আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠলেন, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সামিরা বলেন, ‘ইমন কিন্তু ছবিতে ক্যারিয়ার করতে চায়নি। সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। এরশাদ (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) ও নীলা চৌধুরীকে নিয়ে এক ঘটনায় নীলা চৌধুরী জেলে যান। তিনি ময়মনসিংহ কারাগারে থাকা অবস্থায় ইমন একদিনও তার মাকে দেখতে যায়নি। কেন? ইমন কিন্তু তার মাকে মা বা আম্মা বলে ডাকত না, বলতো “মহিলা”। আমাদের সামনে অবশ্য ওভাবে বলত না। নীলা চৌধুরী যখন শুটিং সেটে যেতেন, ইমন বলত, “মহিলা আসছে”। সেটা শুনে ডলি জহুর আন্টি একদিন তাকে বকা দিয়ে বলেছিলেন “তুই এভাবে ডাকছিস কেন? তোর তো মা হয়।” ইমন তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।’
সামিরা আরও বললেন, ‘ইমনের মনে অনেক কষ্ট ছিল। ইমন অনেক কিছু দেখে বড় হয়েছিল, যেগুলো ওর দেখার কথা ছিল না। বাচ্চাদের ওপর সেসব ঘটনা বাজে প্রভাব ফেলে। আমরা এখন যেমন হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করি, তখন তো এগুলো করতাম না। তখন আমাদের কোনো কাউন্সিলিংয়ের সুযোগ ছিল না। ছিল না রিহ্যাব। এখন রিহ্যাব আছে, কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। আমরা তেমন কিছু অনুভব করলে কারও সঙ্গে আলাপ করে তা ভাঙার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা। তখন তো ইমন এসব কাউকে বলতে পারেনি। “সালমান শাহ” হওয়ার পর তো আরও বলতে পারেনি। যাকেই বলবে, সেটা নিউজ হয়ে যাবে।’
সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বরাবরই দাবি করে আসছেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেননি, বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন, ‘খুন নয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।’ পিবিআই সেদিন সালমানের আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণও দাঁড় করিয়েছিলেন।

