বিজিবির উপর হামলা-গাড়ি ভাঙ্চুর, ৪২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী:
নীলফামারীর ডিমলায় নির্বাচনের মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙ্চুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১৮জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে ডিমলা থানায় নীলফামারী ব্যাটালিয়ানের(৫৬ বিজিবি) নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, ফেরদৌস মিয়া (৪০), আব্দুল বারেক (৩৫), মোঃ তারেক (৩২), শফিয়ার রহমান (৬০), রহিদুল ইসলাম(৫৫), আঃ করিম(৪৮), তাসিন(২৩), রবিউল ইসলাম (৩০), কামিনুর রহমান (৩৪), ফজল মিয়া রানা (৩৫), মোছাঃ নাসিমা বেগম (২৮), মোছাঃ রেবিনা বেগম (৪০), মোছাঃ পারভিন বেগম (৩৫), আঃ করিম (৪৮), আবু (হানিফ (৪২), মোঃ মাসিদুল ইসলাম (৩০), মোঃ ফরহাদ আলী (৩৫), মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু (৩০), মোঃ আনিসুর রহমান (৩৩) ও মোঃ আবু জাহিদ (৩৮)। এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার(১৭জুলাই) সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিন খড়িবাড়ী পণ্ডিতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গননা শেষে প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ হয়ে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস মিয়ার প্রার্থীর সমর্থকরা বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙ্চুর করেন।
এ বিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান বলেন, মামলার পর এখন পর্যন্ত ১১ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার(১৭জুলাই) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ও ধর্মপাল ইউনিয়নের ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে এবং ডোমার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সদস্য কাউন্সিল ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫৮ জন প্রার্থী