২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলী কদর এ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হন জামায়াতের নেতা মাওলানা আজীজুর রহমান। পাঁচ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যান। এবারও আজীজুর রহমানকে জামায়াতের দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। এ জন্য জামায়াতে ইসলামী এ আসনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও বিএনপি নেতাদের দাবি, জামায়াতের প্রার্থী ২০০৮ সালে যে ভোট পেয়েছিলেন, তা ছিল মূলত বিএনপির ভোট।
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান (তৃপ্তি)। যদিও শার্শার কয়েকটি ইউনিয়নের একাংশের নেতারা প্রার্থী বদলের জন্য কেন্দ্রে লিখিত আবেদন করেছেন। শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাবেক সভাপতি খাইরুজ্জামান এ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এ বিষয়ে মো. হাসান জহির বলেন, ‘কোনো ত্যাগী নেতাকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। এ জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।’
বিএনপির দলীয় প্রার্থী মফিকুল হাসান বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান জহির এখনো বিরোধিতা করছেন। তিনি কাউকে কাউকে দিয়ে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। তবে তাদের অনেকে আবার আমার সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে মাঠে কাজ করছেন।’
