জেলার ছয়টি সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মধ্যে পাঁচটিতে বর্তমানে কোনো বালাম বই নেই। এসব কার্যালয় হলো লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও চন্দ্রগঞ্জ। কেবল কমলনগর সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে কিছু বালাম বই আছে। জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী সিহাব উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসে জেলার ছয়টি কার্যালয়ের জন্য পাঁচ হাজার বালাম বইয়ের চাহিদাপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। তবে একটি বইও পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বছরে জেলার রেজিস্ট্রি কার্যালয়গুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার বালাম বইয়ের প্রয়োজন। তবে এর এক-চতুর্থাংশও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এর আগের পাঁচ বছরের ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৫২টি দলিল জমা পড়ে রয়েছে। ২০১৯ সালে যেসব দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে, সেসব জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা এখন মূল দলিল পাচ্ছেন।
জেলার তিনজন দলিললেখক জানান, জমি নিবন্ধন হলে প্রমাণস্বরূপ ক্রেতা-বিক্রেতাকে রসিদ দেওয়া হয়। পরে সেই রসিদ জমা দিয়ে মূল দলিল নিতে হয়। কিন্তু দলিল পেতে চার-পাঁচ বছর দেরি হওয়ার কারণে অনেক ক্রেতা রসিদ হারিয়ে ফেলেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ ছাড়া বালাম বইয়ে না তোলা দলিল সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোয়া যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।