আল আমিন,বাবুগঞ্জ ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জের ১০৮ নং মধ্যবকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। একতলা বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ মাত্র চারটি। একটি কক্ষে শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ করছেন। আর ৪ টি কক্ষে চলছে ৫ টি ক্লাসের পাঠদান। বাকি অন্যটি শিশু শ্রেণির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কক্ষে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণির পাঠদান করা হচ্ছে। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় দুইজনের বেঞ্চে বসতে হচ্ছে ছয়জন শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়া এক শ্রেণির শব্দের কারণে অন্য শ্রেণির ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের বেতনের টাকায় মাঠের কোনে নির্মিত কাঠ-বাঁশের ছাপড়া ঘরে চলছে পাঠদান। শীতের আবহাওয়া ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শ্রেণিকক্ষ সংকটের পাশেপাশি ওয়াসব্লক এর অভাবে বিপাকে পরেছে শিক্ষককৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০৮ নং মধ্যবকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০০ সালে একটি ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন পায়। সেখানেই চলছিল বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। যা এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে প্লাস্টার ও ছাদের প্যালেস্তর ঘসে পরছে। দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। কোনরকম মেরামত করে পাঠদান চলছে। ক্লাসরুম সংকটে নিজেদের টাকায় ছাপড়া ঘর তুলে পাঠদান চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪ টি কক্ষ বশিষ্ট ভবনের ২ টি কক্ষে চলছে ৫ টি ক্লাশের পাঠদান। বাকি দু’টি কক্ষের একটি শিক্ষকদের অফিস ও অন্যটি শিশু শ্রেণির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের বেতনের টাকায় মাঠের কোনে নির্মিত কাঠ-বাঁশের ছাপড়া ঘরে চলছে পাঠদান। শীতের আবহাওয়া ক্লাশ করতে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্থানীয়রা ও অভিভাবকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ওয়াসব্লকসহ একটি পাকা ভবন দাবী করেন। জানাযায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণিতে ১২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। প্রতিবছর শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে পাঠদান করানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক বলেন, শ্রেণিকক্ষ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয়। এক শ্রেণির পাঠদানের শব্দে আরেক শ্রেণির পড়াশোনা বিঘিœনত হয়। বাচ্চাদের মনোযোগের ঘাটতি হয়। নতুন ভবন হলে শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধি পেলে এমন পরিস্থিতি থাকবে না। প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ কবির হোসেন জানান, বিদ্যালয়টিতে কক্ষ কম হওয়ায় ক্লাস করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কোনরকম মেরামত করে পাঠদান চলছে। ক্লাসরুম সংকটে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে নিজেদের টাকায় ছাপড়া ঘর তুলে পাঠদান করানো হয়। এমত অবস্থায় একটি নতুন ভবন জরুরী হয়ে পরেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফসিয়া রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, কিছু বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন বরাদ্দ হয়ে আসছে। সেই তালিকায় যদি ওই বিদ্যালয়ের নাম না থাকে,তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হবে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
ভারত কোনোদিনই আমাদের বন্ধু ছিল না: চরমোনাই পীর
বরিশালসহ সারা দেশে তীব্র শীত, ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ
দেশে প্রথমবার পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত, কতটা ভয়াবহ এই ভাইরাস
বরিশালের ২০ নদীতে লবণ পানি, ৫২ ভাগ ফসলি জমি আক্রান্ত