বাবুগঞ্জে বেপরোয়া কিশোরগ্যাং: কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর ফেসবুকে পোস্ট

বাবুগঞ্জে বেপরোয়া কিশোরগ্যাং: কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর ফেসবুকে পোস্ট

১ December ২০২৫ Monday ৭:১০:৪২ PM

Print this E-mail this


বাবুগঞ্জে বেপরোয়া কিশোরগ্যাং: কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর ফেসবুকে পোস্ট

বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৩নং দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া এলাকায় সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজকে কেন্দ্র করে একটি কিশোর গ্যাং দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের মনমতো না হলেই হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে আশপাশের নিরীহ মানুষদের।

খবর রয়েছে, গত ২ মাসে দেহেরগতি ইউনিয়নের ৫-৭ জন তাদের হামলার শিকার হয়েছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে-হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়। ফলে ওই এলাকা জুড়ে প্রশ্ন উঠছে তাদের প্রশ্রয়দাতাদের নিয়ে। সাম্প্রতিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কলেজ ছাত্রকে ডেকে এনে হামলা করে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজের সামনে বসে একজন কলেজ ছাত্রকে বেধরক মারপিট করে। গত ২৩ নভেম্বর সকাল আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

আহত শিক্ষার্থী কাজী আসফিন (১৮) এর মা মোসাঃ নাজমা কাজী বাদী হয়ে ২৭ নভেম্বর বাবুগঞ্জ থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলো মুবিন ইসলাম (২০),নাহিদ(২০), রুমান(২০),রানা(২০),আশিক(২১),আসিফ(২২),সাইমন(২২),আসিফ(২১), অনিক(২০) সহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন। এজাহারসূত্রে জানা যায়, বাদী নাজমা কাজীর বড় ছেলে সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। কলেজে পড়ালেখার সময় পূর্ব তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসফিনের সঙ্গে বেশ কিছু সহপাঠীর বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে কলেজের সামনে ম্যাসেজ দিয়ে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

নাজমা কাজী বলেন, আমার ছেলেকে ওই কিশোর গ্যায়ের সদস্যরা এর আগেও দুই দফায় হামলা করে। দুইবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়। তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হামলা কারীরা অধিকাংশ আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্র। হামলার বিষয়ে আমি কলেজ অধ্যক্ষের বরাবর আবেদন দিয়েছি। তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যায়ের লাগাম টেনে ধরুন। সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান বলেন ঘটনার একটি ভিডিও আমি দেখছি। দুই পক্ষকে কলেজে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন,অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts