বাবার লাশ দাফনে ছেলের বাঁধা : নতুন করে কবর খুঁজে দাফন

বাবার লাশ দাফনে ছেলের বাঁধা : নতুন করে কবর খুঁজে দাফন

বাবার লাশ দাফনে ছেলের বাঁধা : নতুন করে কবর খুঁজে দাফন

 

ইব্রাহিম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে জমির দাবীতে কবরে শুয়ে বাবার লাশ দাফনে বাঁধা দেয় ছেলে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বাটুলটারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গোটা জেলায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মজিবর রহমান (৬৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন শুক্রবার বাড়ির পাশে সকালে কবরস্থানে দাফনের আগে ছেলে নওশাদ আলী (৩৫) জমির দাবীতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়ে। পরে নতুন কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।

ইউপি সদস্য মাহাবুব রহমান জানান, মজিবর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ৪ ছেলে এবং ২য় স্ত্রীর এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৮ বছর আগে মজিবর রহমান প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের কাছে তিন শতক জমি বিক্রি করে। তবে সেই জমি রেজিস্ট্র করা হয় নি ওই সময়। মজিবর রহমানের মোট ১০ শতক জমি ছিল।  তার মধ্যে ২ শতক তার ২য় স্ত্রী ও তার ছেলেকে ৫ শতকসহ মোট ৭ শতক লিখে দেন। ৩ শতক জমি তিনি রেখে দেন। মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে গত ৬ বছর আগে গন্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কোন কথা হয় না। মজিবর রহমান গত ৫/৬ বছর ধরে অসুস্থ। গতকাল সন্ধ্যায় মজিবর রহমান নীলফামারী হাসপাতালে মারা যান। আজ সকাল ১০ টায় তার দাফন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে নয় টার দিকে নওশাদ জমির দাবীতে তার বাবার দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। সে কবরে প্রায় ১৫ হতে ২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিল। এরপর পুলিশ আসলে সে কবর থেকে উঠে আসে। এরপর পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়। তবে মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবী করে নাই। তারা নওশাদকে কবর থেকে উঠার জন্য বার বার অনুরোধ করেছে।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়। পরে পাশেই কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Explore More Districts