গোলটেবিল সভায় বক্তারা জানান, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়, পরিমাণে তা প্রায় ৩০ লাখ টন। এর মধ্যে ১৫ লাখ টন পাম তেল ও ১০ লাখ টন সয়াবিন তেল। ২০৩০ সালের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে ৩৫ লাখ টন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ থাকলেও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অভাব রয়েছে।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদ বলেন, ধান চাষকে কৃষকেরা সব সময়েই অগ্রাধিকার দেবেন। কিন্তু বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে উচ্চফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি শর্ষে বা সয়াবিন চাষ করা যায়। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীতে যেভাবে সয়াবিন চাষ হচ্ছে, সেভাবে সারা দেশেই চাষ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
দেশে শর্ষে দানা প্রক্রিয়াজাতের সময় ভালো যন্ত্র ব্যবহার করলে তেলের উৎপাদন আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, অনেক সময় বাজারে শর্ষের দাম পড়ে যায়। তাই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তেল কেনা হলে কৃষকেরা উপকৃত হবেন। শর্ষের তেলের পাশাপাশি সয়াবিন, সূর্যমুখী ও কুঁড়ার তেলেরও ভালো বাজারের সম্ভাবনা রয়েছে, যা কাজে লাগানো প্রয়োজন।