বাকেরগঞ্জে বিএনপির এক পক্ষের সভায় আরেক পক্ষের হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

বাকেরগঞ্জে বিএনপির এক পক্ষের সভায় আরেক পক্ষের হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

৬ July ২০২৫ Sunday ১২:৫১:৫৪ PM

Print this E-mail this


বাকেরগঞ্জ ((বরিশাল) প্রতিনিধি:

বাকেরগঞ্জে বিএনপির এক পক্ষের সভায় আরেক পক্ষের হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির এক পক্ষের সভায় আরেক পক্ষ হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পেয়ারপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজন অভিযোগ করেছেন, তাঁর কর্মসূচি পণ্ড করতে জেলা আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের অনুসারীরা হামলা করেছেন।

জানা গেছে, রাজন ও আবুল দুজনেই বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়ন চান। উপজেলায় বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম রাজন জানান, আজ বিকেলে পেয়ারপুর বাজারে কবাই ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি অনুষ্ঠানে পৌঁছার আগেই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মন্টু গাজী, যুবদলের হাসান ও ছাত্রদলের বাপ্পির নেতৃত্বে শতাধিক লোক হামলা করেছেন। তাঁরা অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করেন। হামলায় উপজেলার কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২), কর্মী জয়দর হাওলাদার (৭০), সুমন আকনসহ (৫০) অন্তত পাঁচ-সাতজন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার প্রতিবাদে রাজন নেতৃত্বে অনুসারীরা কবাই বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং পরে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে অভিযোগ দিতে থানায় যান। এ সময় সেখানে আবুল হোসেনের লোকজনকে দেখা যায়নি।

অভিযোগের ব্যাপারে বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন বলেন, ‘রাজন বাকেরগঞ্জের কে? তিনি ওখানে কেন গেছেন?’ আবুলের অভিযোগ, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করতে এসব করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাবেক সভাপতি কুদ্দুস বহিষ্কৃত। তার ব্যবহার ভালো না। সে জন্য কর্মীরা ধমক দিয়েছিল। এখন চেয়ার-টেবিল ভেঙে নিজেরা নাটক করছে।’

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts