বাউফলে প্রভাবশালীদের দখলে সরকারী জমিথমকে আছে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প

বাউফলে প্রভাবশালীদের দখলে সরকারী জমিথমকে আছে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প

২৯ June ২০২৪ Saturday ৬:১২:০৮ PM

Print this E-mail this


কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

বাউফলে প্রভাবশালীদের দখলে সরকারী জমিথমকে আছে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া বাজারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারী জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে দোকানঘরসহ নানা স্থাপনা করার কারনে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থমকে আছে।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপণা তুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবাসা-বাণিজ্য করে আসছেন ওই প্রভাবশালীরা।

সূত্রে জানা গেছে, ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘুরচাকাঠী মৌজায় সরকারি খাস খতিয়ানের ১০/১৫৮৭ দাগে ২.৭০ একর জমি রয়েছে। যার মধ্যে ধুলিয়া বাজার এলাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ জমি খাস জমি রয়েছে। এসব জমি দীর্ঘদিন ধরে
প্রভাবশালীরা দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে।

সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ ধুলিয়া বাজার সম্প্রসারণের জন্য বরাদ্দ দিলেও সরকারি জমি বেদখল থাকায় বাজার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ধুলিয়া বাজারের প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে সরকারি জমিতে ২০ থেকে ২২ টি পাকা ও আধা পাকা ঘর রয়েছে। এসব দোকানঘর অন্যজনের কাছে ভাড়াও দিয়েছেন
দখলদাররা। দোকান ঘরের পিছনের ডোবা-নালায় মুরগির খামার ও মাছের ঘের করা হয়েছে।

সরকারি জমিতে এসব দোকান ঘরের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়ার ৪টি, সজল ওঝার ৩টি, সুশান্ত ওঝার ২টি, নাসির উদ্দিনের ১টি ও মিজান হাওলাদারের দখলে ২টি ঘর রয়েছে।বাজার উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি ওই জমি ছেড়ে দিতে বারবার বলা হলেও দখলদাররা জমি ছাড়ছেন না।

সর্বশেষ গত ২৬ জুন স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন। কিন্তু জমি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি জমি দখল করে স্থাপণা করেছেন প্রভাবশালীরা। তারা নিয়মিত ভূমি অফিসে টাকা দিয়ে জমি দখলে রাখছেন।

সরকারি জমিতে অবৈধভাবে স্থাপণা নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সজল ওঝা, সুশান্ত ওঝা, নাসির উদ্দিন বলেন, ধুলিয়া মৌজায় রাজেশ্বর মÐল নামে এক ব্যক্তিকে সরকার ৫০শতাংশ জমি বন্দবস্ত দেন। সেই জমি অনেকের কাছে তিনি বিক্রি করেন। পরে তাতে স্থাপণা নির্মাণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মু. হুমায়ন কবির জানান, বাজার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি জমি বেদখল থাকায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলছেন।
দখলদারদের কাছে ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম খান বলেন, প্রাথমিক ভাবে খাস জমির সিমানা নির্ধারণ করে সেই জমিতে লাল নিশান টাঙিয়ে জমি দখলে নেওয়া হয়েছে।
অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন। বাউফল উপজেলা সহাকরী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে আমরাও জড়িত। সরকারি জমি খালি করতে বলা হয়েছে। যদি স্ব- ইচ্ছায় চলে না যান, তাহলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts