বাউফলে পানিতে পচে যাচ্ছে আমনের বীজতলা

১৫ July ২০২৪ Monday ৮:০৩:০৪ PM

Print this E-mail this


বাউফল (পটুয়াখালী ) প্রতিনিধি:

বিরামহীন বৃষ্টি আর পূর্নিমার প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল জমির বীজতলা পচে যাচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল থেকে পানি দ্রæত নিস্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবী নি¤œাঞ্চল থেকে পানি নিস্কাশনের টেকসই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যেন দ্রæত সময়ের মধ্যে করা হয়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে স্থানীয় ও উপসী জাতের প্রায় ৪০হাজার হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ঘিরে বেড়িবাঁধের একটি মাত্র ¯øুইচগেট। যা দিয়ে দুই-তিনটি বিলের পানি নিস্কাশন হয় না। বিলের সমতল ভূমির তুলনায় øুইজগেট উচুতে থাকায় পানি উঠলে আর নামে না। কিংবা নামলে আর ওঠে না। একারনে ওই ইউনিয়নের শুধু চরমিয়াজান গ্রামেই পচে যাচ্ছে ৮ হেক্টর আমনের বীজতলা। খোঁ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বীজতলার এমন পচার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বিরামহীন বৃষ্টি আর পূর্নিমার প্রভাবে\ তেঁতুলিয়া নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে চরমিয়াজানের শতাধিক কৃষকের আমনের বীজতলা পচে গেছে। এতে ক্ষতির মুুখে পরেছেন তারা। ওইসব বীজতলা থেকে দ্রæত পানি নিস্কাশনের উপায় না থাকায় এদের কেউ আবার নতুনভাবে বীজতলা তৈরীর উদ্দ্যেগ নিলেও চাষ
মৌসুমে ২০-২৫ দিন পিছিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষক সাত্তার হাওলাদার ওরফে রুবেল জানায়, বীজতলা তৈরীর পরে বাজার থেকে ১০ কেজির প্রতি প্যাকেট ১হাজার ৫০টাকা হিসেবে বিআর ১১জাতের বীজধান কিনে আনে। বীজ ছিটানোর কয়েকদিন পরই বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি উঠলে বীজতলা পচে যায়।

সেকান্দার রাড়ি, আব্দুস ছালাম হুজুর, কুদ্দুস মৃধা, লিটনসহ প্রায় সব কৃষকেরই একই দশা। নান্নু বাবুর্চি নামে অপর এক কৃষক বলেন, ২ মন মোটা ধানের বীজ পানিতে ভেসে যায় তার। বিলে পানি জমে থাকায় ঠিকঠাক অঙ্কুর আসলেও শিকড় ধরেনি মোকলেস চৌকিদারের বীজতলায়। বিলের পানি নামতে না নামতেই আবার বৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে তার বীজতলাও। তিনি জানায়, পুরোচরে একটা মাত্র ¯ø্ধুসঢ়;ইচ গেটে পানি নেমে শেষ হয় না। পানিতে প্লাবিত থাকায় স্থানীয় সকল চাষিদের প্রায় বীজধান নষ্ট হয়।

কৃষকরা জানিয়েছেন, চরমিয়াজান কামাল মাস্টার বাড়ি কাছেই যদি আরও একটি ¯øুইচ বা কালবার্ড নির্মাণ করা হয়ে তাহলে আমন চাষে কৃষকরা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের কলার ভেলা, বাঁশের মাচা কিংবা ঘাস-লতাপাতা ব্যাবহার করে ভাসমান বীজতলা তৈরীর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ২০-২৫ দিনের জন্য ব্যাবহৃত এসব ভাসমান বীজতলা তৈরী করে নি¤œ এলাকায় অনায়াসে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। চর মিয়াজানে আমন চাষের প্রতিকুলতা তুলে ধরে ¯øুইচ গেট কিংবা কালবার্ড সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।’

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts