কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশের কিছু অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আদর্শের ক্ষেত্রে দুদেশের অনেক ভালো অবস্থান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এক কোটি জনগণকে আশ্রয় দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষার্থে ভারতের তৎকালীন সরকার প্রধান ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ব পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যতদিন থাকবে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কোনভাবেই বিনষ্ট হবে না।
শুক্রবার রাতে শহরের দিশা টাওয়ার মিলনায়তনে ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডাঃ এএফএম আমিনুল হক রতন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন এবং বাংলাদেশ- ভারত সম্প্রীতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ এবং ভারত পরীক্ষিত বন্ধু বলেই কখনো তারা বিচ্যুতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর যে লক্ষ্য ছিল, যে দর্শন ছিল, যে বিশ্বাস ছিল, মানবকল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য তাদের যে রাজনীতি ছিল সে রাজনীতি হোক আমাদের পাথেয়। আর যখনই বাংলাদেশ কিংবা ভারত প্রান্তে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, শান্তির পৃথিবী নির্মাণের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিজ্ঞ জিপি এ্যাড. আসম আক্তারুজ্জামান মাসুম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন জাফর, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ দেলদার হোসেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল মোমেন, সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ডাঃ এএফএম আমিনুল হক রতন তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের কৃতিমান এ্যাথলেট, খেলোয়াড়, বিতর্ককারী ও আবৃতিকার (বাচিক শিল্পী) ডাঃ রতন ১৯৭৫ সালে এসএসসি পাশ করেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৯২ সালে নিপসম ঢাকা থেকে ডিআইএইচ (পোষ্টগ্রাজুয়েশন) ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি চিকিৎসা ও মানবসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কোলকাতার সৃজন বার্তা পত্রিকা হতে “বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এ্যাওয়ার্ড ২০১৯” এবং নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে আইকনিক এ্যাওয়ার্ড-২০২১ সম্মাননা পদক সহ দেশে অসংখ্য সম্মাননা পদকে ভুষিত হন।