দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশ-ভারত পণ্য বাণিজ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের তিনটি প্রধান স্থলবন্দরে। ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা হিলি, ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দরে রবিবার (১৫ জুন) থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঈদের সময় সরকারি কোনো ছুটি ঘোষণা না থাকলেও, দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বিত সিদ্ধান্তে এ ধরনের ছুটি পালিত হয়ে থাকে। ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও, এই সময়টায় বন্দরে ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম চালু ছিল। দীর্ঘদিনের বন্ধের কারণে বন্দরগুলোতে পণ্যজট তৈরি হয়েছে, যা দ্রুত নিরসনের চেষ্টা চলছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, রবিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। পণ্য খালাসে নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বন্দর এলাকায় যানজট ও পণ্যজট নিরসনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন জানান, কার্যক্রম আগের নিয়মেই শুরু হয়েছে এবং বন্দরে পুনরায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
ভোমরা কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, সকাল থেকেই বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে। পণ্য লোড-আনলোড ও পরিবহনে আবারও গতি ফিরেছে।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম অব্যাহত/
বন্দরের পণ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ছুটির মধ্যে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ছিল স্বাভাবিক। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদের ছুটিতে ভারতে গমনকারী যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। তাঁর মতে, করোনা সতর্কতা ও ভিসা জটিলতার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘ ১০ দিনের বিরতির পর তিনটি প্রধান স্থলবন্দরে আবারও পুরোদমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পণ্যজট দ্রুত দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঠে সক্রিয় রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দরের স্বাভাবিক ছন্দ পুরোপুরি ফিরে আসবে।
