ব্যাটিং ধসের পর তাওহীদ হৃদয়ের করা দারুণ সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গেছে শুভমান গিলের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ভারতীয় এই ওপেনার।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের পর ভারত-বাংলাদেশ লড়াইকে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান বা শক্তিমত্তায় ভারত যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে উত্তেজনার রসদে কমতি থাকে না। বেশ কিছু ম্যাচে জমজমাট লড়াইও দেখা গেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ শেষে এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক ব্যাটার বীরেন্দ্র শেবাগ বলেন, ‘আমার মনে হয় না কেউ ভয় পেয়েছিল। এটা বাংলাদেশ, তোমরা এত প্রশংসা করছো.. জানি না তোমরা আমার ভেতর এমন ভয় ধরিয়ে দিচ্ছো যে আমরা না জানি কার সঙ্গে খেলছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতেও এতো ভয় লাগতো না যতটা তোমরা এখানে বসিয়ে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছো। এটা বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া কিংবা পাকিস্তান নয় যে খানিকটা আনপ্রেডিক্টেবল। আমার মনে হয় না কোনো সমর্থকের মনের মাঝে ১ শতাংশ সংশয় ছিল। আমি এটা মানি না। আমারই যদি না হয় তাহলে সমর্থকদের কই থেকে আসবে।’
আড়াইশোর কম টার্গেট তাড়ায় ভারতের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে শেবাগ বলেন, ‘খুবই সহজ একটা খেলা ছিল, ৪-৫ ওভার তো বাকিই ছিল। গিল তো একটু সময় নিয়ে খেলছিল। রোহিত বা কোহলির কেউ যদি আউট না হতো তাহলে এই ম্যাচ ৩৫ ওভারেই জিততাম। তারা আউট হয়ে গেছে এজন্য গিলকে কিছুটা সময় নিয়ে খেলতে হয়েছে। নয়ত তলোয়ারের মতো ব্যাট চালাতো।’
জাকের আলি লোকেশ রাহুলের ক্যাচ ছেড়েছিল। একই অনুষ্ঠানে সেই ক্যাচের ঘটনা সামনে এনে পার্থিব প্যাটেল বলেন, ‘জাকের আলী যদি ওই সময় ক্যাচ ধরতো..তখনও ৭০ রান বাকি ছিল।’ পাশে থাকা শেবাগ বলেন, ‘তখনও হার্দিক পান্ডিয়া, জাদেজা ছিল। এদের (বাংলাদেশ) জন্য তো কুলদীপ যাদবই যথেষ্ট ছিল।’
প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২২৮ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন হৃদয়। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন জাকের। ভারতের হয়ে ৫৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি। জবাবে খেলতে নেমে ৪৬ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। ১২৯ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন গিল।